বাংলাদেশের টেলিকম বাজার দখল করতে চায় ভারত। এ আকাঙ্খার অংশ হিসেবে গত ৪ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়ারিদের ৭০ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ভারতী এয়ারটেল। এখন লাইনে রয়েছে টাটা ও রিলায়েন্স। রিলায়েন্স বাংলাদেশের বাজারে আসতে চায় মূলত তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোন সেবা (থ্রিজি) দিতে। অন্য দিকে টাটা সব ধরনের সেবা দিতে চায়।
সম্প্রতি বাতিল করে দেয়া পাঁচটি পাবলিক সুইচড টেলিফোন নেটওয়ার্ক (পিএসটিএন) বা বেসরকারি ল্যান্ডফোন কোম্পানির ফিন্সকোয়েন্সি ভারতীয় এ তিনটি কোম্পানির যেকোনো একটিকে বরাদ্দ দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
টাটা কমিউনিকেশন্স ২০০৮ সালের ২ এপ্রিল বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাব করেছিল। সে প্রস্তাব সরকার এখন সক্রিয় বিবেচনায় রেখেছে বলে পাওয়া খবরে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বাংলাদেশের টেলিবাজারে ভারতের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার বিপক্ষে রয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহম্মেদ রাজু। তবে বিটিআরসি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা টিঅ্যান্ডটি মন্ত্রীর বিপক্ষে অবস্খান নিয়েছেন। তারা সরকারের বাইরের কিছু প্রভাবশালী দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ভারতীয় কোম্পানির পক্ষে কাজ করছেন বলে জানা গেছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানাচ্ছে, টাটা অথবা রিলায়েন্সকে পিএসটিএন অপারেটরদের থেকে কেড়ে নেয়া ফিন্সকোয়েন্সি দেয়া না হলেও ভারতী এয়ারটেলকে দেয়া হবেই। ভারতী এখন যে পরিমাণ ফিন্সকোয়েন্সি ওয়ারিদের তরফে পাচ্ছে, তার সাথে এগুলোও যুক্ত হবে।
এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না দাবি করে বিটিআরসি’র মহাপরিচালক কর্নেল আহসান বলেছেন, ‘ফিন্সকোয়েন্সি খালি ফেলে রাখা ঠিক নয়। তবে এটা বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেন ন্যাশনাল ফিন্সকোয়েন্সি অ্যালোকেশন কমিটি। তাদের সিদ্ধান্তই অনুমোদন করে বিটিআরসি।’
ভিওআইপি’র অবৈধ ব্যবহারের অভিযোগে বিটিআরসি গত মার্চ মাসে বন্ধ করে দেয়া পাঁচটি কোম্পানির (পিএসটিএন) লাইসেন্স চলতি মাসে বাতিল করেছে। এ পাঁচটি কোম্পানি হলোন্ধ রেঙ্কসটেল, পিপলসটেল, ঢাকাফোন, ন্যাশনাল টেলিফোন ও ওয়ার্ল্ডটেল। এ পাঁচটি অপারেটরের লাইসেন্স বাতিল করে দেয়ায় প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার দেশী বিনিয়োগ সঙ্কটের মুখে পড়লেও সরকার সেদিকে নজর না দিয়ে এ ফিন্সকোয়েন্সি ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠানকে দিতে চাইছে।
পিএসটিএন লাইসেন্সগুলো যে বাতিল হতে যাচ্ছে, সে ব্যাপারে গত ২৪ মার্চ বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জিয়া আহমেদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, অভিযুক্ত অপারেটরদের শোকজ করা হয়েছে। তারা ‘সন্তোষজনক’ জবাব দিতে না পারলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
ভিওআইপি’র অবৈধ ব্যবহারের অভিযোগে ১৫ মার্চ ঢাকাফোন, ১৭ মার্চ ওয়ার্ল্ডটেল, ১৯ মার্চ রেঙ্কসটেল, ২১ মার্চ পিপলসটেল এবং ২৩ মার্চ ন্যাশনাল ফোনের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি। এসব পিএসটিন’র সার্ভিস বন্ধ করা এবং ১২ মে লাইসেন্স বাতিল করা নিয়ে সরকারের সব মহল একমত না হলেও বিটিআরসি উর্দ্ধতন এক কর্মকর্তা এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী ছিলেন বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে।
সম্প্রতি বাতিল করে দেয়া পাঁচটি পাবলিক সুইচড টেলিফোন নেটওয়ার্ক (পিএসটিএন) বা বেসরকারি ল্যান্ডফোন কোম্পানির ফিন্সকোয়েন্সি ভারতীয় এ তিনটি কোম্পানির যেকোনো একটিকে বরাদ্দ দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
টাটা কমিউনিকেশন্স ২০০৮ সালের ২ এপ্রিল বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাব করেছিল। সে প্রস্তাব সরকার এখন সক্রিয় বিবেচনায় রেখেছে বলে পাওয়া খবরে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বাংলাদেশের টেলিবাজারে ভারতের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার বিপক্ষে রয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহম্মেদ রাজু। তবে বিটিআরসি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা টিঅ্যান্ডটি মন্ত্রীর বিপক্ষে অবস্খান নিয়েছেন। তারা সরকারের বাইরের কিছু প্রভাবশালী দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ভারতীয় কোম্পানির পক্ষে কাজ করছেন বলে জানা গেছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানাচ্ছে, টাটা অথবা রিলায়েন্সকে পিএসটিএন অপারেটরদের থেকে কেড়ে নেয়া ফিন্সকোয়েন্সি দেয়া না হলেও ভারতী এয়ারটেলকে দেয়া হবেই। ভারতী এখন যে পরিমাণ ফিন্সকোয়েন্সি ওয়ারিদের তরফে পাচ্ছে, তার সাথে এগুলোও যুক্ত হবে।
এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না দাবি করে বিটিআরসি’র মহাপরিচালক কর্নেল আহসান বলেছেন, ‘ফিন্সকোয়েন্সি খালি ফেলে রাখা ঠিক নয়। তবে এটা বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেন ন্যাশনাল ফিন্সকোয়েন্সি অ্যালোকেশন কমিটি। তাদের সিদ্ধান্তই অনুমোদন করে বিটিআরসি।’
ভিওআইপি’র অবৈধ ব্যবহারের অভিযোগে বিটিআরসি গত মার্চ মাসে বন্ধ করে দেয়া পাঁচটি কোম্পানির (পিএসটিএন) লাইসেন্স চলতি মাসে বাতিল করেছে। এ পাঁচটি কোম্পানি হলোন্ধ রেঙ্কসটেল, পিপলসটেল, ঢাকাফোন, ন্যাশনাল টেলিফোন ও ওয়ার্ল্ডটেল। এ পাঁচটি অপারেটরের লাইসেন্স বাতিল করে দেয়ায় প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার দেশী বিনিয়োগ সঙ্কটের মুখে পড়লেও সরকার সেদিকে নজর না দিয়ে এ ফিন্সকোয়েন্সি ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠানকে দিতে চাইছে।
পিএসটিএন লাইসেন্সগুলো যে বাতিল হতে যাচ্ছে, সে ব্যাপারে গত ২৪ মার্চ বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জিয়া আহমেদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, অভিযুক্ত অপারেটরদের শোকজ করা হয়েছে। তারা ‘সন্তোষজনক’ জবাব দিতে না পারলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
ভিওআইপি’র অবৈধ ব্যবহারের অভিযোগে ১৫ মার্চ ঢাকাফোন, ১৭ মার্চ ওয়ার্ল্ডটেল, ১৯ মার্চ রেঙ্কসটেল, ২১ মার্চ পিপলসটেল এবং ২৩ মার্চ ন্যাশনাল ফোনের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি। এসব পিএসটিন’র সার্ভিস বন্ধ করা এবং ১২ মে লাইসেন্স বাতিল করা নিয়ে সরকারের সব মহল একমত না হলেও বিটিআরসি উর্দ্ধতন এক কর্মকর্তা এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী ছিলেন বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে।
No comments:
Post a Comment