| ||||
রেমিটেন্স আসছে মোবাইল ফোনে | ||||
এবার রেমিটেন্স পাঠানোর কাজে এগিয়ে এসেছে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো। দেশে দ্রুত ও নিরাপদে গ্রাহকের কাছে প্রবাসীদের পাঠানো টাকা পেঁৗছে দিতে এ উদ্যোগ নিয়েছে তারা। ইতিমধ্যে এ সেবাটি চালু করেছে বাংলালিংক। গ্রামীণফোনও আসছে একই পথে। এ মাসের মধ্যে তারাও প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশিদের টাকা দেশে আনার কাজ শুরু করবে। রবি এবং দেশের সবচেয়ে পুরনো মোবাইল অপারেটর সিটিসেলও এ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিভিন্ন সেবা খাতের বিল নেওয়া, টিকিট বিক্রি করার পর রেমিটেন্স সেবার মাধ্যমে অপারেটরগুলো এখন হাঁটছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের দিকে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম মোবাইল রেমিটেন্স সেবা চালু করেছে। মোবাইল অপারেটররা বলছে, সরকারের নীতিগত সহায়তা পেলে এ খাতে তারা বিপ্লব ঘটাতে পারবে। তাদের মতে, ইতিমধ্যে ব্যাংকের অনেক কাজ শুরু করেছে অপারেটরগুলো। মোবাইলের এ সেবাগুলো যেভাবে এগোচ্ছে তাতে চলতি বছরের মধ্যেই ব্যাংকের সব কাজ মোবাইলের মাধ্যমেই করা সম্ভব হবে। এ বছর ১৩ এপ্রিল মোবাইল রেমিটেন্স সেবার উদ্বোধন করেছে বাংলালিংক। গত তিন মাসে আড়াইশ' থেকে তিনশ' জনের সঙ্গে লেনদেন করেছে অপারেটরটি। প্রথম ঢাকায় কেবল ১৯টি পয়েন্টে সেবা দিয়ে শুরু করে তারা। পরে মে ও জুনে রেমিটেন্স সেবার পয়েন্টের সংখ্যা শতাধিক পার করে ফেলেছে। এই মাসের মধ্যে এর সংখ্যা সহস্রাধিক হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন কোম্পানির পাবলিক রিলেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ম্যানেজার সোলায়মান আলম। এই সেবাটি চালুর আগে অপারেটররা দেশের অঞ্চলভিত্তিক রেমিটেন্স প্রবাহের তথ্যও সংগ্রহ করেছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স আসে কুমিল্লা, ফেনী এবং নোয়াখালী অঞ্চলে। সে কারণে ওই সব এলাকাকে গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্প তৈরি করেছে বাংলালিংক। এরপর চট্টগ্রাম, সিলেট, শরীয়তপুর, গাজীপুরের কিছু নির্দিষ্ট এলাকাকেও বিশেষ বিবেচনায় রেখেছে তারা। ইতিমধ্যে মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে রেমিটেন্সের যত লেনদেন হয়েছে, তার প্রায় সবাই হয়েছে এই অঞ্চলগুলোতেই। আগে যেখানে বৈধ পথে বিদেশ থেকে রেমিটেন্স আসতে ৪/৫ দিনের বেশি সময় লাগত, এখন সেখানে মোবাইল রেমিটেন্সের মাধ্যমে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রাহক টাকা পেয়ে যাচ্ছেন। বিদেশ থেকে রেমিটেন্স আনার ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের ব্যাংক ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড (ডিবিএল) এবং ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) সঙ্গে পৃথক চুক্তি রয়েছে বাংলালিংকের। লেনদেনগুলো হচ্ছে দুটি ব্যাংকের মাধ্যমে। যে অপারেটর রেমিটেন্স সেবা দেবে কেবল তারাই যে ওই সেবাটি পাবে তা নয়, বরং যে কোনো গ্রাহক তাদের মাধ্যমে সেবাটি নিতে পারবেন। ফলে বাংলালিংকের গ্রাহক না হয়েও বাংলালিংকের মাধ্যমে যে কেউ বৈদেশিক রেমিটেন্স পেতে পারেন। একইভাবে মোবাইল অপারেটররা যখন ব্যাংকের এজেন্ট হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাবে, তখনও তারা অন্য অপারেটরের গ্রাহকদেরও সেবা দেবে। মোবাইলে রেমিটেন্স সেবা প্রসঙ্গে সোলায়মান আলম বলেন, দেশের বেশিরভাগ লোক এখন ব্যাংকিং সেবার বাইরে রয়েছেন। মোবাইল অপারেটররা ব্যাংকগুলোর সহযোগিতায় সেবা বিস্তৃত করতে পারলে গ্রাহকদের মাঝে আরও দ্রুত ও নিরাপদে রেমিটেন্স পেঁৗছানো সম্ভব। এতে করে প্রবাসী মোবাইলের মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠাতে আরও উৎসাহী হবেন। তিনি বলেন, এ উদ্যোগ সফল হলে এমন এক সময় আসবে যখন ব্যাংকিং খাতের চেয়ে বেশি করে মোবাইলের মাধ্যমে রেমিটেন্স আসবে। মোবাইলের মাধ্যমে রেমিটেন্স সেবা দিতে গ্রামীণফোনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন অপারেটরটির হেড অব ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস দেলোয়ার হোসেন আজাদ। তিনি বলেন, তাদের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। যে কোনো দিনই সেবাটি গ্রাহকদের হাতে তুলে দিতে পারবেন। নিজেদের ই-টিকিটিং এবং অন্যান্য সেবার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এটি আসলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের প্রথম ধাপ। বাংলাদেশের মতো মোবাইল রেমিটেন্স সেবা দিয়ে শুরু করেছিল ফিলিপিন্সের বেশ কয়েকটি মোবাইল অপারেটর। এখন তারাই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের উদাহরণ হয়ে গেছে। একইভাবে কেনিয়াও আদর্শ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের উদাহরণ। ইতিমধ্যে এ প্রক্রিয়াগুলো দেখে আসার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ফিলিপিন্সও সফর করে এসেছেন। তাদের প্রস্তাব অনুসারেই শুরু হয়েছে মোবাইল রেমিটেন্স। |
Tuesday, July 13, 2010
রেমিটেন্স আসছে মোবাইল ফোনে
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment