Pages

DSE

Freelancer

Freelance Jobs Freelance Jobs

Tuesday, July 20, 2010

কল সেন্টার স্থাপনে ইইএফ থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়া যাবে

hawker.com.bd [ অর্থনীতি ] 2010-07-17

কল সেন্টার স্থাপনে ইইএফ থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়া যাবে



ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে কল সেন্টার স্থাপনে সমমূলধন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন তহবিল (ইইএফ) থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়া যাবে। ইইএফ ফান্ড গঠনের দশ বছর পর কল সেন্টার এই সুযোগ পেল। এক বছরের অভিজ্ঞতা কল সেন্টারকে ঋণ সহায়তা দেয়া হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আইটি তহবিল নীতিমালা সংশোধনের মাধ্যমে কল সেন্টার খাততে অন-ভর্ুক্ত করেছে। আইটি শিল্প প্রসারের লৰ্যে ইইএফ(আইটি) তহবিল নীতিমালার ব্যাপক সংশোধন করা হয়। ধীরে ধীরে দেশে কল সেন্টারের গুরুত্ব বাড়ছে। কিন্তু আর্থিক সহায়তার অভাবে এ খাতটি আলোচনায় আসতে পারছে না। যদিও বিশেষজ্ঞমহল মনে করছে কল সেন্টার স্থাপনে কর্মসংস্থান সৃষ্টির বড় ভুমিকা রয়েছে। ইতোমধ্যে সারাদেশে ৩৩ টি কল সেন্টার গড়ে উঠেছে। এক বছর আগে শুরু করা কল সেন্টারগুলোতে এ পর্যন- ১৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। ২০১০ সালে কাজ করার জন্য কল সেন্টারগুলোতে অন-ত ৩০ কোটি টাকার কাজ রয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন হাজার কর্মী নিয়ে ৩৩টি কল সেন্টার পরিচালনা হচ্ছে। এ খাতে বিনিয়োগের পরিমান দাঁড়িয়েছে একশ' কোটি টাকা। কল সেন্টার মালিকদের সংগঠন কাব্য সুত্র মতে সারা বিশ্বে কল সেন্টারের কাজ রয়েছে ৫০ হাজার ৫শ কোটি মার্কিন ডলারের। এর এক শতাংশ বাংলাদেশে আনতে পারলে সেটি রেমিটেন্স বা তৈরি পোশাক শিল্প খাতের আয়ের চেয়ে বেশি হবে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন(বিটিআরসি) সুত্র মতে, কল সেন্টার শুরু জন্য চারশ লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। কিন্তু কাজ না শুরু করায় ২শ লাইসেন্স ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি খাত আইটি শিল্প বিগত সময়ে সরকারের আইটি তহবিল থেকে কোন আর্থিক সহায়তা পায়নি। ওই সহায়তা ছাড়াই কল সেন্টারগুলো ইতোমধ্যে একশ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।
বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করছে। ফলে কল সেন্টার স্থাপন ও সম্প্রসারণ গুরুত্ব বহন করছে। এ লক্ষ্যে সরকার কল সেন্টারকে আর্থিক সহায়তার সিদ্ধান- নিয়েছে। বিশেষ করে এ জন্য ইইএফ নীতিমালায় সংশোধনী আনা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আইটি শিল্প স্থাপন ও প্রসারের লৰ্যে ইকুইটি এন্ড এন্ট্রারপ্রানারশীপ (ইইএফ-আইটি) ফান্ড সুষ্ঠু ব্যবহারের উদ্যোগ গ্রহন করে। এ জন্য আইসিবি কে সাব এজেন্ট হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়।
ইইএফ নীতিমালা সংশোধন সম্প্রতি আইটি তহবিল নীতিমালার সংশোধন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সংশোধনীতে উলেস্নখ্য করা হয় আইটি তহবিল নীতিমালায় কল সেন্টার খাতকে অনর্ত্দভুক্ত করণ ও কল সেন্টারের জন্য ঋণ পাওয়ার ৰেত্রে এক বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এছাড়া কল সেন্টারের ২০ শতাংশ কর্মকর্তা ও কর্মচারী কম্পিউটার বিজ্ঞান বা আইটি বিষয়ে ডিগ্রী বা স্নাতকোত্তর ডিপেস্নামা থাকতে হবে। নীতিমালা সংশোধনীতে আরও বলা হয় মঞ্জুরী বোর্ডের কোরাম তিন জনের স্থলে চার জন করা যেতে পারে। সংশোধনী নীতিমালা আরও বলা হয় ইইএফ অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইসিবি নিয়মিত মনিটরিং ও পরিদর্শন করবে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আইসিবি সমন্বয়ে একটি পরির্দশন টিম গঠন করা হবে। ইকু্যইটি অ্যান্ড অন্ট্রাপ্র্যান্যারশীপ ফান্ড(ইইএফ)সম্ভাবনাময় ও ঝুকিপূর্ণ সফটওয়্যার শিল্প এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পভুক্ত প্রকল্পে বিনিয়োগ উদ্বুদ্ধকরণের লৰ্যে ২০০০-০১ অর্থ বছরে জাতীয় বাজেটে প্রাথমিক ভাবে একশ কোটি টাকা বরাদ্দের মাধ্যমে ইইএফ ফান্ড গঠন করা হয়। ২০০৯ সালের ১৬ এপ্রিল অর্থমন্ত্রনালয়ের অনুমোদনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাব এজেন্ট হিসাবে ইকু্যইটি অ্যান্ড অন্ট্রাপ্যান্যারশীপ ফান্ড এর কার্যক্রম বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আইসিসির নিকট হসত্দানত্দর হয়।এ পর্যনত্দ বিভিন্ন বছরের বাজেটে ইইএফ ্বাব্দ বরাদ্দ করা হয়েছে ১৭শ কোটি টাকা। এরমধ্যে ছাড়কৃত অর্থের পরিমান হচ্ছে ৬২৫ কোটি টাকা। ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে কোন প্রকল্প ইইএফ মঞ্জুরী পায়নি। সদ্য বিদায়ী অর্থ বছরেন পুঞ্জিভুত ইইএফ সহায়তার পরিমান দাঁড়ায় ৪০ কোটি টাকা। বি্তরণের তারিখ হতে আট বছরের মধ্যে ইইএফ ফান্ডের অর্থ ফেরত দেয়ার বিধান রয়েছে। প্রথম তিন বছরের মধ্যে শেয়ারর অভিহিত মুল্য বাই ব্যাক করা যাবে। পররর্তী পাচঁ বছরের মধ্যে ব্যাকআপ ভ্যালু বাই ব্যাক করতে হবে। এ পর্যনত্দ ১২টি কৃষি ভিত্তিক ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রকল্পের বিপরীতে ৩৬ কোটি টাকা এবং ৩টি আইটি প্রকল্পের বিপরীতে ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার বাই ব্যাক করা হয়েছে। চলতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যনত্দ ১৫শ কোটি টাকা প্রকল্প মূল্যের ৩৪টি আইটি প্রকল্প অর্থাৎ সবের্ামোট ১৬শ ৪০ কোটি টাকা প্রকল্প মূল্য বিশিষ্ট ২৫০টি প্রকল্পে ৬২৫ কোটি টাকা ইইএফ সহায়তা মঞ্জুরী করা হয়েছে। ২১৬টি কৃষি ভিত্তিক ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রকল্পের মধ্যে ২শ প্রকল্পের অনুকুলে ৪৮৫ কোটি টাকা এবং ৩২টি আইটি প্রকল্পের অনুকুলে ৪৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা অর্থাৎ সর্বমোট ৫৩০ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। চলতি বাজেটে বরাদ্দ ২০১০-১১ অর্থ বছরের বাজেটে তথ্য প্রযুক্তি আইটি শিল্প বিকাশের লৰ্যে ২শ কোটি টাকার একটি আইটি তহবিল গঠন করা হয়। আগের অর্থ বছর ২০০৯-১০ সালে আইটি খাতের ২শ কোটি টাকার তহবিল থেকে একশ কোটি টাকা খরচ হয়। ফলে আগামী অর্থ বছর ও চলতি অর্থ বছর মিলে আইটি তহবিলের পরিমান দাঁড়ায় ৩শ কোটিতে। ওই টাকার পুরো ফান্ড দেখাশুনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
২০০৯-১০ অর্থ বছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মার্চ পর্যনত্দ ১৪টি আইটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। অর্থ মন্ত্রনালয় আইটি তহবিল থেকে একশ কোটি টাকা ছাড় করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক, একু্যইটি এন্ড এন্ট্রাপ্রেনরশীপ ফান্ডের স্থাপনকাল হতে এ পর্যনত্দ আইটি খাতে ৩৪টি প্রকল্প মঞ্জুর করা হয়েছে। ওইসব প্রকল্পের মোট ব্যয় হচ্ছে ১৬শ ৪৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

No comments:

Post a Comment