Pages

DSE

Freelancer

Freelance Jobs Freelance Jobs
Showing posts with label Cancer. Show all posts
Showing posts with label Cancer. Show all posts

Tuesday, May 25, 2010

মোবাইল ফোনের ব্যবহার মস্তিষ্কের ক্যান্সার বাড়ায়নি....!!

মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে মস্তিষ্কে ক্যান্সার হতে পারে এতদিন এই ধারণা ছিলো সবার। কিন্তু ডেনমার্কের বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন মোবাইল ফোন ব্যবহারে মস্তিষ্কে ক্যান্সারের ঝুঁকি নয়। খবর বিবিসি অনলাইনের।
BrainCancer1215
ডেনমার্কের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ১৯৯০ এর মাঝামাঝি থেকে মোবাইল ফোনের ব্যাপক ব্যবহার শুরু হলেও বয়স্কদের মস্তিষ্কের ক্যান্সারজনিত টিউমারের উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। ড্যানিশ ক্যান্সার সোসাইটি ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, এবং সুইডেনের ২০ থেকে ৭৯ বছর বয়সীদের মস্তিষ্কে ক্যান্সারজনিত টিউমারের হার নিয়ে গবেষণা করেন। তারা দেখেন, ১০ বছর ধরে মোবাইল ব্যবহারের ফলেও এই হারের কোন পরিবর্তন হয়নি। তারা অবশ্য আরো গবেষণার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছেন।

এই গবেষণা ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট এর একটি সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, মোবাইল হ্যান্ডসেট থেকে বের হওয়া রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ও বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় ক্ষেত্র বা ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড মস্তিষ্কের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। কিন্তু বায়োলজিক্যাল মেকানিজমের উপর প্রভাব ফেলার মতো কোনকিছু এখনো চিহ্নিত করা যায়নি।
এক কোটি ৬০ লাখ প্রাপ্ত বয়স্ক লোকের মধ্যে ৫৯,৬৮৪ জনের মস্তিষ্কের টিউমার আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিয়ে ১৯৭৪ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত ৩০ বছর ধরে এই গবেষণা চলেছে। এই সময়ে গ্লিমাস নামের ক্যান্সারে আক্রান্তের হার বেড়েছে পুরুষের ক্ষেত্রে শতকরা শূন্য দশমিক পাঁচ ভাগ আর মহিলাদের ক্ষেত্রে শতকরা শূন্য দশমিক দুই ভাগ। মোননজিওমা নামক আক্রান্তদের হার পুরুষদের শতকরা শূন্য দশমিক আট এবং ১৯৯০ এর পরে মেয়েদের ক্ষেত্রে শতকরা তিন দশমিক আট ভাগ।
গবেষকদের মতে, মেয়েদের এই ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে বয়স ৬০-৭৯ বছরের পরে।

এই গবেষণা দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইসাবেলা ডেটুর। তিনি জানান, ১০ বছর মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলেও মস্তিষ্কের ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার হার খুবই নগণ্য। তার মতের সঙ্গে একমত বৃটিশ ক্যান্সার গবেষক ডক্টর অ্যালিসন রস। তিনি জানান, বৈজ্ঞানিকভাবেই এখন প্রমাণিত যে, ১০ বছরের নিচে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ক্যান্সারের কোন ঝুঁকি বহন করে না। মস্তিষ্কের টিউমার থেকে ক্যান্সারে যেতে অনেক সময় লাগে তাই মোবাইল ফোনের ব্যবহার দীর্ঘ মেয়াদি কোন ঝুঁকির কারণ হতে পারে কিনা সেটা পরখ করতে হবে।