| ||||
মন্ত্রণালয়ের কর্তৃত্বই বহাল টেলিযোগাযোগ আইনে | ||||
সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদন দাখিল শেষমেশ মন্ত্রণালয়ের মতই মেনে নিল ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। পাঁচ দফা বৈঠক করে কমিটি যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তার গুরুত্বপূর্ণ দফাগুলো চূড়ান্ত প্রতিবেদনে স্থান পায়নি। ফলে টেলিযোগাযোগ আইন সংশোধনের ব্যাপারে মৌলিক জায়গাগুলোতে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তই বহাল থেকেছে। বিল আকারে উত্থাপিত টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১০-এর ওপর সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদন গতকাল রোববার সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, কমিটির সুপারিশের ব্যাপারে মন্ত্রণালয় থেকে আপত্তি উত্থাপন করা হয়েছিল, যে কারণে শেষ পর্যন্ত কমিটি মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ অনুযায়ীই প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত করে। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ টেলিযোগযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) আরোপ করা প্রশাসনিক জরিমানার বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আপিল করতে পারবেন। কিন্তু সরকারের কোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না। অথচ পাঁচ দফা বৈঠক শেষে ৫ জুলাই কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছিলেন, সরকার ও বিটিআরসির প্রশাসনিক জরিমানা আদেশ বা কোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আপিল করতে পারবেন। সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারক এবং সরকার কর্তৃক নিয়োগ করা দুজন সদস্য নিয়ে আপিল বোর্ড গঠন করা হবে। শেষের দুই ব্যক্তির একজন টেলিযোগাযোগ বিষয়ে অভিজ্ঞ হবেন। কিন্তু চূড়ান্ত প্রতিবেদনে টেলিযোগাযোগ বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্তির বিধান রাখা হয়নি। কমিটির খসড়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আপিল কর্তৃপক্ষ আবেদন পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে সব পক্ষকে শুনানির সুযোগ দিয়ে অভিযোগের নিষ্পত্তি করবেন। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এই সুপারিশও রাখা হয়নি। প্রতিবেদনটিতে বিটিআরসির জন্যও কোনো সুসংবাদ নেই। আইনের ১৬টি ধারায় প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে বিটিআরসিকে ক্ষমতাশূন্য করা হয়েছে। লাইসেন্স প্রদান, ট্যারিফ নির্ধারণসহ অন্যান্য কাজ বিটিআরসি করবে। তবে সব কাজের আগেই প্রতিষ্ঠানটিকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে। বিটিআরসি কারও বিরুদ্ধে প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ করার আগে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ধরন যাচাই করে দেখতে হবে। আইনের চারটি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা আদায়ের বিধান করা হয়েছে। কমিটির সদস্যদের কেউ কেউ মনে করেন, এই আইনের কারণে সরকারের বড় ধরনের রাজস্ব ক্ষতির আশঙ্কা থেকে যাবে। কোনো প্রতিষ্ঠান যদি সরকারের দুই হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি করে থাকে, সেই প্রতিষ্ঠানও ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা দিয়ে রেহাই পেয়ে যাবে। বিলটি সম্পর্কে গতকাল কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু প্রথম আলোকে বলেন, ‘যা সবার জন্য ভালো, আমরা তা করার চেষ্টা করেছি। সুপারিশ অনুযায়ী বিটিআরসি সব কাজই করতে পারবে, তবে সরকারের অনুমোদন নিতে হবে।’ আপিল বোর্ড সম্পর্কে সংসদীয় কমিটির সভাপতি ইনু বলেন, এ ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় যে যুক্তি দেখিয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য। আইন অনুযায়ী সরকার নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকবে। তাই সরকারের বিরুদ্ধে আপিল করার বিধান রাখা হয়নি। প্রসঙ্গত, ডাক ও টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) বিল ২০১০ গত ১৩ জুন সংসদে উত্থাপন করা হয়। বিলটি চলতি অধিবেশনেই পাস হতে পারে বলে কমিটির সভাপতি জানিয়েছেন। |
Tuesday, July 13, 2010
মন্ত্রণালয়ের কর্তৃত্বই বহাল টেলিযোগাযোগ আইনে
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment